Bhalobashia Gelam Fasia Full Natok | ভালোবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া | Shamim Hasan Sarkar | Ahona Rahman | Bangla Natok 2024

Bhalobashia Gelam Fasia | ভালোবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া | Shamim Hasan Sarkar | Ahona Rahman | New Bangla Natok 2024

Bhalobashia Gelam Fasia | Shamim Hasan Sarkar | Ahona Rahman ভালোবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া | New Bangla Natok 2024

ভূমিকা: ভালোবাসার নামে এক ভয়ংকর ফাঁদ

জীবন মানে কখনো কখনো একটা অদৃশ্য জালের মতো। তুমি ভাবো, ভালোবাসা এসেছে, সুখ এসেছে, কিন্তু আসলে সেটা একটা গভীর গর্ত, যেখান থেকে বেরোনোর পথ থাকে না। "ভালোবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া" নাটকটি ঠিক এমনই এক অন্ধকারময় প্রেমের গল্প, যেখানে ভালোবাসা শব্দটা নিজেই একটা অস্ত্র হয়ে ওঠে। শামিম হাসান সরকার অভিনীত রাগী, আবেগপ্রবণ আর একটু বেশি ভালোবাসার লোক আরিফ আর আহনা রহমানের চরিত্রে থাকা নীলিমা, যে মিষ্টি হাসির আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে এক ভয়ংকর পরিকল্পনা। এই গল্প শুধু প্রেমের নয়, এটা বিশ্বাস ভাঙা, প্রতারণা, আর একটা মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেওয়ার নির্মম খেলা। দর্শক হিসেবে আপনি যখন দেখবেন, মনে হবে, আরিফের মতো কেউ আপনার জীবনেও আছে কি না, যে ভালোবাসার নামে আপনাকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।

প্রথম পর্ব: প্রেমের প্রথম আলো, আর এক অন্ধকার ছায়া

গল্প শুরু হয় আরিফের (শামিম হাসান সরকার) জীবন দিয়ে। সে একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী, যার জীবনে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন একটা সুখী পরিবার। তার বাবা-মা মারা গেছে, একমাত্র বোনটাও বিদেশে। আরিফ একা, কিন্তু তার হৃদয়টা ভরা ভালোবাসায়। একদিন অফিসের ক্যান্টিনে তার সাথে দেখা হয় নীলিমার (আহনা রহমান)। নীলিমা নতুন জয়েন করেছে, তার হাসি, তার কথা, তার চোখের ভাষা আরিফকে মুহূর্তে বন্দি করে ফেলে। নীলিমা বলে, "আমার জীবনেও কেউ নেই, তুমিই আমার প্রথম ভালোবাসা।" আরিফ বিশ্বাস করে। সে নীলিমার জন্য তার সবকিছু দিতে প্রস্তুত। কিন্তু নীলিমার চোখে যে আলো, সেটা ভালোবাসার নয়, সেটা একটা শিকারের চোখের আলো। আরিফ বুঝতে পারে না, সে ইতিমধ্যে একটা জালে আটকে গেছে।

নীলিমা আরিফকে বলে, তার বাবা-মা তাকে বিয়ে দিতে চায় একজন ধনী লোকের সাথে। সে পালাতে চায়। আরিফ তার জীবনের সঞ্চয় তুলে নীলিমাকে সাহায্য করে। তারা দুজনে একটা ছোট্ট ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়। আরিফ ভাবে, এটাই তার সুখের শুরু। কিন্তু রাতের বেলা নীলিমা ফোনে কার সাথে কথা বলে? কেন তার ফোনের লক খোলা থাকে না? আরিফের মনে প্রথম সন্দেহ জাগে, কিন্তু ভালোবাসার টানে সে সব ভুলে যায়। একদিন রাতে আরিফ নীলিমাকে বলে, "তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জন্য সব করতে পারি।" নীলিমা হেসে বলে, "তুমি সত্যিই আমার জন্য জন্মেছ।"

দ্বিতীয় পর্ব: ভালোবাসার নামে ধ্বংসের খেলা

বিয়ের পর আরিফের জীবন বদলে যায়। নীলিমা এখন তার স্ত্রী। কিন্তু নীলিমার আচরণে পরিবর্তন আসতে থাকে। সে আরিফের টাকা খরচ করে, তার কার্ড ব্যবহার করে, তার ফোন চেক করে। আরিফ ভাবে, এটা ভালোবাসার অধিকার। কিন্তু একদিন আরিফের অফিস থেকে ফোন আসে, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিশাল অংকের টাকা উধাও। আরিফ বুঝতে পারে, নীলিমা তার সাথে প্রতারণা করছে। সে নীলিমাকে জিজ্ঞেস করে, কিন্তু নীলিমা কাঁদতে কাঁদতে বলে, "আমার বাবা অসুস্থ, আমি টাকা পাঠিয়েছি।" আরিফ আবার বিশ্বাস করে। কিন্তু তার বন্ধু রাকিব তাকে সতর্ক করে, "ভাই, এই মেয়েটা তোকে ফাঁসাচ্ছে।"

একদিন আরিফ বাড়ি ফিরে দেখে, নীলিমা বাড়িতে নেই। তার ফোন বন্ধ। আরিফের মনে আতঙ্ক জাগে। সে নীলিমার জিনিসপত্র খুঁজতে গিয়ে একটা ডায়েরি পায়। ডায়েরিতে লেখা, নীলিমার আসল নাম রিয়া। সে একজন প্রফেশনাল প্রতারক। তার সঙ্গী রাহাত। তারা মিলে ধনী, একা লোকদের ফাঁসায়। আরিফের নামের পাশে লেখা, "টার্গেট কমপ্লিট। পরবর্তী টাকা তুলে পালানো।" আরিফের পা কেঁপে ওঠে। সে বুঝতে পারে, সে শুধু প্রতারিত হয়নি, তার জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেছে।

তৃতীয় পর্ব: সত্যের মুখোমুখি, আর এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র

আরিফ পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু নীলিমা বা রিয়া আগেই সবকিছু গুছিয়ে ফেলেছে। সে আরিফের নামে একটা মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করে। আরিফের জীবন তছনছ। তার চাকরি চলে যায়, বাড়িওয়ালা তাকে উঠিয়ে দেয়। আরিফ রাস্তায়। কিন্তু সে হাল ছাড়ে না। সে রিয়ার পেছনে লাগে। একদিন সে রিয়াকে একটা হোটেলে রাহাতের সাথে দেখে। সে গোপনে তাদের কথা রেকর্ড করে। রিয়া বলছে, "আরিফ এখনও আমার পেছনে লেগে আছে। তাকে শেষ করে দিতে হবে।"

আরিফ বুঝতে পারে, এটা শুধু টাকার প্রতারণা নয়, এটা একটা হত্যার পরিকল্পনা। সে তার বন্ধু রাকিবের সাহায্য নেয়। তারা মিলে রিয়া আর রাহাতের পুরো নেটওয়ার্কের খোঁজ করে। জানতে পারে, এর আগেও দুজন লোক এভাবে ধ্বংস হয়েছে। একজন আত্মহত্যা করেছে, আরেকজন জেলে। আরিফের চোখে আগুন জ্বলে। সে প্রতিশোধ নিতে চায়, কিন্তু আইনের পথে।

চতুর্থ পর্ব: ফাঁদের মধ্যে ফাঁদ, আর এক অপ্রত্যাশিত মোড়

আরিফ রিয়াকে ফাঁসাতে একটা পরিকল্পনা করে। সে রিয়াকে ফোন করে, বলে, তার কাছে আরও টাকা আছে। রিয়া লোভে পড়ে। তারা একটা পার্কে মিট করে। আরিফের হাতে একটা ব্যাগ। রিয়া ভাবে, টাকা। কিন্তু ব্যাগে ক্যামেরা। আরিফ রিয়াকে বলে, "তুমি আমার জীবন নষ্ট করেছ, এখন আমি তোমার সত্যটা সবাইকে দেখাব।" রিয়া হাসে, "তুমি কিছুই প্রমাণ করতে পারবে না।" কিন্তু আরিফের পেছনে পুলিশ। রিয়া আর রাহাত ধরা পড়ে।

কিন্তু এখানেই গল্প শেষ নয়। রিয়া জেলে গিয়ে আরিফকে বলে, "তুমি জিতেছ, কিন্তু আমি একা নই। আমার বস আরও বড়। সে তোমাকে ছেড়ে দেবে না।" আরিফ বুঝতে পারে, এটা একটা বড় সিন্ডিকেট। নাটকের শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, আরিফ একটা ফাইল হাতে, তার চোখে আগুন। সে বলছে, "আমি শুধু আমার জীবন ফিরিয়ে আনব না, আমি এই ফাঁদের পুরো জালটাই ছিঁড়ে ফেলব।" দর্শকের মনে প্রশ্ন জাগে, আরিফ কি পারবে? নাকি এই ফাঁদ আরও গভীর?

শেষ পর্ব: প্রতিশোধের আগুন, আর এক নতুন শুরু

আরিফ পুলিশের সাথে কাজ করে। সে রিয়ার বসের খোঁজ পায়। নাম মিঃ খান। একজন বড় ব্যবসায়ী, যে প্রতারণার এই নেটওয়ার্ক চালায়। আরিফ নিজেকে বেইট বানায়। সে মিঃ খানের কাছে যায়, বলে, সে তাদের সাথে কাজ করতে চায়। মিঃ খান বিশ্বাস করে। কিন্তু আরিফের পকেটে রেকর্ডার। সে সব প্রমাণ সংগ্রহ করে। শেষ দৃশ্যে পুলিশ মিঃ খানকে গ্রেপ্তার করে। আরিফের চোখে অশ্রু। সে বলে, "ভালোবাসার নামে যারা মানুষের জীবন নষ্ট করে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই।"

নাটকের শেষে আরিফ একা দাঁড়িয়ে আছে। তার হাতে একটা ছবি, নীলিমার। সে ছবিটা ছিঁড়ে ফেলে। তারপর হাসে। সে বুঝেছে, সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো ফাঁসায় না, মুক্তি দেয়। কিন্তু দর্শকের মনে প্রশ্ন থেকে যায়, আরিফ কি আবার কাউকে বিশ্বাস করতে পারবে? নাকি এই ফাঁসিয়া গল্প তার জীবনের শেষ কথা?

আরিফের এই প্রতিশোধের লড়াই আর ভালোবাসার নামে প্রতারণার ভয়ংকর সত্য আপনার কেমন লাগলো? আপনার মতে, কীভাবে একজন মানুষ এমন ফাঁদ থেকে বাঁচতে পারে? আপনার মূল্যবান মতামত নিচের কমেন্ট বক্সে শেয়ার করুন। এই গল্পের পার্ট টু চাইলে কমেন্ট করে জানান, আমরা আপনার জন্য নিয়ে আসব!

ডিসক্লেমার: এই গল্পটি নাটকের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে একটি কল্পিত রচনা। থাম্বনেইলটি শুধুমাত্র তথ্য পরিবেশনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.